
বিএনপিতে একাধিক স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সম্ভাবনায় বাজিমাত করতে পারে অন্যদলগুলো
নারায়ণগঞ্জ এর আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন নারায়ণগঞ্জ-০৪।নানা হিসেবে নিকেশ কষেও সমিকরন মেলাতে না পাড়ায় এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি।
তবে এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের কার্যক্রম ও গতিবিধি পর্যবেক্ষন করলে তাদের মাঝে মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার প্রবনতা দৃশ্যমান।
একদিকে বিএনপি এখনো তাদের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে রয়েছেন দোটানায় অপরদিকে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো এ আসনের জন্য বহু আগেই প্রার্থী ঘোষণা করায় প্রার্থীরা ইতিমধ্যে প্রচারণায় নেমে পড়েছে।
যার ফলে প্রচারনায় বিএনপি থেকে এগিয়ে রয়েছে অন্যন্য দলগুলো।
শুধু তাই নয়,যেখানে অন্যদলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজ দলের প্রার্থীকে জয়ী করতে চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানে বিএনপি তাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মাঝেই ঐক্য সৃষ্টি করতে বারংবার ব্যার্থ হয়েছে।
এতে করে শঙ্কা জেগেছে এ আসনে বিএনপি প্রার্থী দিলেও তাদের দল থেকে একাধিক প্রার্থী স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার।
তথ্যমতে,এ আসনে বিএনপি সর্বশেষ নির্বাচনে জোট থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাশেমীকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন ধানের শীষ প্রতীকে।
এবার সারা দেশে বিএনপির সর্বমোট ২৭৩ টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণা করলেও নারায়ণগঞ্জ-০৪ আসনে এখনো বিএনপি কাউকে মনোনয়ন ঘোষণা করেনি। তাই ধারণা করা হচ্ছে এ আসনে পূর্বের মতোই এবারও বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন মনির হোসেনের কাসেমী।তবে এবার জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে প্রতীক নিয়ে। কারণ নতুন নিয়ম অনুযায়ী বিএনপি তাদের জোট থেকে কাউকে মনোনয়ন দিলেও সে প্রার্থীর নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। মনের কাসেমীর নিজ দলের প্রতীক খেজুরগাছে মার্কা। এই প্রতীকের সাথে কেউই পরিচিত নন। ফলে শঙ্কা জেগেছে বিএনপি আসনের জোট থেকে মনোনয়ন দিলে এই প্রতীক নিয়ে সে পাশ করতে পারবে না। তখন বিএনপির কোন হেভীওয়েট প্রার্থী যদি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করতে পারে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আর এ সমীকরণ মেলাতেই এ আসনের বিএনপি থেকে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
তবে স্বতন্ত্র থেকেও একাধিক প্রার্থী নির্বাচন করতে আগ্রহী।
তথ্য বলছে, নারায়ণগঞ্জের জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন এর অনুসারীরা তিনি মনোনয়ন না পেলে তাকে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।তাদের ভাষ্যমতে, এ আসনের সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন। কারণ তার সাংগঠনিক দক্ষতা, যোগ্যতা, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা,ত্যাগ সবকিছু মিলিয়ে তার চেয়ে যোগ্য মনোনয়ন প্রত্যাশী এ আসনে আর নেই। অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ আলম বিগত সময়ে বিএনপির সবচেয়ে ক্রান্তিলগ্নে দল থেকে চলে গিয়েছিলেন, তিনি দলের জন্য কিছুই করেননি। অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ আলী এক সময় বিএনপি থেকে মনোময়ন পেলেও বিগত সময়ে ওসমান পরিবারের পদলেহন ও আওয়ামী ঘনিষ্ঠতা তাকে বিএনপি থেকে ছিটকে দিয়েছে। তাই সম্ভাবনা জেগেছে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন। শআর যদি তাই হয় তাহলে বিএনপি’র সম্পূর্ণ ভোট ব্যাংক একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়বে। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি’র প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণায়।সেই সব দলের যেকোনো প্রার্থী বাজিমাত করলেও করতে পারে। এর সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :